এম. ইলিয়াস আলীকে অবিলম্বে অক্ষত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণকারী করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানবিক কারণে নিখোঁজ ইলিয়াস আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ ও গাড়ী চালক আনসার আলী সহ সকল নেতাকর্মীদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ারও আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন, আজ ১৭ এপ্রিল সিলেটের কোটি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন জননেতা এম. ইলিয়াস আলী গুমের ৮ বছর অতিবাহিত হলো। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ইলিয়াস আলীর সন্ধান দিতে সরকারের ব্যর্থতা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা। আমরা মনে করি সরকার ইচ্ছা করলে ইলিয়াস আলী সহ গুমকৃত সবাইকে ফিরিয়ে দিতে পারে। রাজধানীর মতো জনবহুল এলাকা থেকে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা তার গাড়ী চালক সহ গুম হয়ে গেলো সরকার তাকে ফিরিয়ে দিতে না পারাই প্রমাণ করে তার গুমের সাথে সরকারের হাত রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে ইলিয়াস আলীর বৃদ্ধা মাতা কেঁেদ কেঁেদ প্রিয় সন্তানের অপেক্ষায় তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করছেন। একমাত্র মেয়ে ও ২ ছেলে বাবার স্নেহ পাওয়ার জন্য দীর্ঘ ৮টি বছর ধরে অপেক্ষা করছে। তার স্ত্রী স্বামীকে ফিরে পেতে দফায় দফায় সরকারের কর্তাব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু সরকার আজ পর্যন্ত ইলিয়াস আলীকে ফিরত দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে ইলিয়াস আলীর গাড়ী চালক আনসার আলীর অবর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তা স্ত্রী ও অবুঝ সন্তান। তারা তাদের একমাত্র অভিভাবকে ফিরে পেতে আকুল আর্তনাদ করছেন। এভাবেই অপেক্ষার প্রহর গুনছে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার ও জুনেদ আহমদ সহ গুমকৃত প্রতিটি নেতাকর্মীর পরিবার।তিনি আরো বলেন, যে কোন নাগরিককে ফিরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সরকার ও রাষ্ট্রের। কোন মানুষ গুম হয়ে যাবে, রাষ্ট্র ও সরকার কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারেনা। বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণকারী করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশেও চরম ক্রান্তিকাল চলছে। করোনা মহামারীর কারণে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু সংখ্যক কারাবন্দীকে মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আমাদের প্রত্যাশা করোনা মহামারীর এই সংকটালগ্নে মানবিক বিবেচনায় হলেও নিখোঁজ জননেতা এম. ইলিয়াস আলী ও গাড়ীচালক আনসার আলী সহ গুমকৃত সকল নেতাকর্মীদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দিবেন।